ইসলামী প্রশ্ন ও প্রশ্নের শর‍য়ী উত্তর

 ইসলামী প্রশ্ন ও প্রশ্নের শর‍য়ী উত্তর

প্রশ্নোত্তরঅমুসলিম মেয়েকে বিবাহ্ করা জায়েয কিনা?

প্রশ্ন: মুসলিম ছেলে বিদেশ থেকে অমুসলিম মেয়ে বিয়ে করে দেশে আসলে তার ভাই/বোন ও অন্যান্য আত্মীয়-স্বজন উক্ত বিবাহকে স্বীকৃতি দানপূর্বক অনুষ্ঠানাদি করে আনন্দ উল্লাস করে থাকে। তা কি ইসলামে গ্রহণযোগ্য? এ অবস্থায় ছেলে, ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজনের ব্যাপারে শরীয়তের হুকুম কি বিস্তারিত জানালে কৃতজ্ঞ হব।

উত্তর: অমুসলিম ও বর্তমান ইয়াহুদি-খ্রিস্টান মহিলার সাথে কোন মুসলিম পুরুষের বিবাহ্ ও নেকাহ্ বৈধ নয়। যেহেতু পশ্চিমা দেশের বর্তমান ইয়াহুদি-খ্রিস্টান আমাদের প্রিয় রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম ও পবিত্র ইসলাম বরং সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও সর্বশ্রেষ্ঠধর্ম ইসলাম সম্পর্কে তাদের কটূক্তি ও বেয়াদবীর কারণে তারা ঈমান হতে খারিজ হয়ে গেছে। তাদেরকে ঈমান-ইসলাম শিক্ষা দিয়ে মুসলিম বানিয়ে তখন মুসলিম পুরুষ তাদেরকে বিবাহ্ করতে পারবে

এর সওয়াব ও ফযিলত অনেক বেশি। কোন মুসলিম ছেলে সঠিক মাসয়ালা না জেনে বা ধর্মীয় জ্ঞান না থাকায় বিদেশ থেকে অমুসলিম মেয়েকে বিয়ে করে দেশে আসলে তার ভাই-বোন আত্মীয়-স্বজনের পরম দায়িত্ব হল ঐ বিদেশী অমুসলিম মেয়েকে ভালভাবে বুঝিয়ে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করবে অতঃপর পুনরায় তাদের মধ্যে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক নুতনভাবে আকদের মাধ্যমে বিবাহের সম্পর্ক স্থাপন করবে। নতুবা সবাই গুনাহ্গার হবে। ফাসিক ও কবিরা গুনাহগার হয়ে যাবে। তাওবা অপরিহার্য হবে। 

আর যদি জেনে-শুনে ইসলামের বিধানকে অবজ্ঞা ও হেয় করে উক্ত বিবাহ্কে স্বীকৃতি দিয়ে ভাই-বোন-আত্মীয়-স্বজন আনন্দ উল্লাস করে তবে ঈমান ধ্বংস হয়ে যাবে। নতুনভাবে পুনরায় ঈমান গ্রহণ করতে হবে।

 

[ফতোয়ায়ে রজভীয়া শরীফকৃত ইমাম আহমদ রযা ফাযেলে বেরলভী (রাহ.) ইত্যাদি]

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি রচনা | বাংলা ২য় পত্র | সকল শ্রেণির জন্য পড়তে ক্লিক করুন। 

প্রশ্নোত্তর

পাগড়ী পরিধান করা শুধু ফরয নামাযের জন্য নির্দিষ্ট নাকি সুন্নাত-নফল নামাযও পাগড়ী পরিধান করা যাবে?



প্রশ্নপাগড়ী পরে নামায আদায় করা শুধু ফরয নামাযের জন্য নির্দিষ্ট নাকি সুন্নাত  নফল নামায পাগড়ী পরে আদায় করলে সওয়াব পাওয়া যাবে কিনা?

উত্তরপুরুষের জন্য মাথায় পাগড়ী বাঁধা আমাদের প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু তাআলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর একটি প্রিয় সুন্নাত। প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু তাআলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম বেশীরভাগ সময় মাথা মুবারকের টুপির উপর পাগড়ী মুবারক বাঁধতেন।

পাগড়ী বাঁধা ছিল প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু তাআলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর স্বভাবগত সুন্নাত।হাদীসে পাকে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু তাআলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম পাগড়ী বাঁধার জন্য উদ্বুদ্ধও করেছেন।  তিনি বলেন-

عليكم بالعمائِمِ فَاِنَّهَا سِيَمَاءُ الملائكة

অর্থাৎতোমরা পাগড়ী বাঁধবেকেননা এটা ফেরেশতাদের প্রতীক।

[বায়হাকীশুয়াবুল ঈমানপৃষ্ঠা ৬২৬২প্রিয়নবী রাসূল পাক সাল্লাল্লাহু তাআলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম প্রায় সময়বিশেষ করে পাঞ্জেগানা নামাযসফরআগত মেহমান  প্রতিনিধিদের সাথে সাক্ষাত,

 যুদ্ধ এবং ভাষণ দেয়ার সময় পাগড়ী পরিধান করতেন। তবে গৃহে অবস্থানকালে ও অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে যাওয়ার সময় পাগড়ী খুলে রাখতেন। অধিকাংশ ফকিহ্গণের দৃষ্টিতে নামাযের সময় পাগড়ী বাঁধা সুন্নাতে মুস্তাহাব্বাহ্। 

পাগড়ী ছাড়া নামায পড়লে নামায মাকরূহ হবে নাতবে পাগড়ী সহ নামায আদায় করলে নিঃসন্দেহে সাওয়াব বেশি হবে। যেমন-

صلوة بعمامة تعدل خمسًا وعشرين صلوة بلا عمامةِ

অর্থাৎপাগড়ী সহ এক নামাযপাগড়ীহীন (২৫পঁচিশ নামাযের সমান।

জামেউস্ সগীর- হযরত ইমাম মুহাম্মদ রাহমাতুল্লাহি আলায়হি বলেন-

جمعة بعمامة تعدلُ سبعين جمعةً بلاعمامةٍ

অর্থাৎপাগড়ী সহ এক জুমার নামায আদায় করা পাগড়ীহীন সত্তর (৭০জুমার নামায আদায়ের সমান।

উল্লেখ্য যেপাগড়ীর হাদীসকে অনেকেই সনদের সূত্রে দুর্বল বললেও জাঈফ বা দুর্বল হাদীস আমল করার ক্ষেত্রে মাকবুল বা গ্রহণযোগ্য।

 সুতরাং ফরজসুন্নাত  নফল নামাযসহ প্রত্যেক নামাযে পাগড়ী পরিধান করা অত্যন্ত ফজলিত  বরকতময় এবং অশেষ সাওয়াব।

 


প্রশ্ন

রুকু থেকে সাজদাতে যাওয়া ও সাজদা থেকে হাতের উপর ভর করে উঠা মাকরূহ ইমাম সাহেব যদি সব সময় মাকরূহ সহকারে নামায আদায় করেন, তার নামায শুদ্ধ হবে কিনা? 
বিশদভাবে জানানোর অনুরোধ রইল।


উত্তরওজর বা শারীরিক দুর্বলতার কারণে রুকু হতে সাজদায় যাওয়ার সময় এবং সাজদা হতে উঠার সময় হাতের উপর ভর করা মাকরূহ নয়। তবে কোন প্রকারের ওজর বা দুর্বলতা না থাকলে হাতের উপর ভর করবে না। এটাই সুন্নাত তরিকা।


প্রশ্নোত্তর

এক তরুণী তার বান্ধবীর বাপের সাথে পুরুষের ন্যায় কোলাকুলি করেছেইসলামী ফয়সালা কি?


 উত্তর: বান্ধবীর পিতা নিজের পিতা নয় বিধায় বান্ধবীর পিতার সাথে কোন মহিলার (প্রাপ্ত বয়স্ক) এভাবে কোলাকুলি করার ইসলামী শরীয়তে অনুমতি নাই। এ ধরনের আচরণ অনেক সময় গুনাহ্-নাফরমানীর দিকে ধাবিত করে- এ জাতীয় অবাধ আচরণে পশ্চিমা দেশে জেনা-নাফরমানী- সীমা অতিক্রম করেছে। 

তাই ইসলাম নারী জাতীর মান-সম্মান, ইজ্জত, আবরু রক্ষার জন্য শালীন আচরণ ও পর্দা-পুশিদার বিধান প্রদান করেছে। এটা না বুঝে যদি কোন মহিলা/পুরুষ এ কথা বলে-

 ‘এই যদি ইসলামের বিধান হয় তবে আমি এ ইসলাম মানি না।’ তাকে প্রথমে ইসলামের আদর্শ মর্মবাণী ও তাহজীব তামাদ্দুন বুঝাতে হবে এবং ইসলাম নারী জাতীর মর্যাদা ও সম্মান কত উচুঁ করেছে তা জানাতে হবে। 

তবে কোন মুসলিম নর-নারী জেনে শুনে বুঝে ইসলামকে কটাক্ষ করার উদ্দেশ্যে এ ধরনের উক্তি করে তখন ঈমান থেকে বের হয়ে যাবে। খালিস নিয়তে পরম করুণাময় আল্লাহ্ তা‘আলার দরবারে লজ্জিত হয়ে তাওবা করতে হবে। নতুবা ঐ ব্যক্তি মারা যাওয়ার পর মা-বাবার সম্পত্তির মিরাছ/তর্কা পাবে না। এবং মা-বাবা ও ভাই-বোনের সাথে ঈমানী সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যাবে।


নতুন নতুন ইসলামিক কন্টেন্ট  পড়তে আমাদের ওয়েব সাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। 


  • 10 Minute Madrasah ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিয়ে প্রযুক্তি বিষয়ক যেকোনো প্রশ্ন করুনঃ এখানে ক্লিক করুন
  • 10 Minute Madrasah ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন
  • 10 Minute Madrasah ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করতে এখানে ক্লিক করুন এবং দারুণ সব ভিডিও দেখুন
  • গুগল নিউজে 10 Minute Madrasah সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন
  • 10 Minute Madrasah সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুন এই লিংকে
  • প্রযুক্তির সব তথ্য জানতে ভিজিট করুন www.10minutesmadrasah.com সাইট।


  •  

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    Be alert before spamming comments.

    নবীনতর পূর্বতন

    Sponsored

    Responsive Ad