ইয়াজিদকে খলিফা বানানোর কারণ

ইয়াজিদকে খলিফা বানানোর কারণ - The reason for making Yazid Caliph


ইয়াজিদকে খলিফা বানানোর কারণ

আজকের পোস্ট থেকে আমরা জানবে কিভাবে ইয়াজিদ খলিফা হল । 

হজরত মুয়াবিয়া (رضي الله عنه) যখন জীবন সায়াহ্নে পৌঁছলেন, বিশিষ্ট সাহাবি হজরত মুগিরা ইবনে শু'বা (رضي الله عنه) যিনি বাইআতে রিদ্ওয়ানে রাসুল (ﷺ)-এর সঙ্গী হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করেছিলেন, তিনি মুয়াবিয়া (رضي الله عنه)-কে পরামর্শ দিলেন যে, হজরত ওসমান (رضي الله عنه)-এর শাহাদাতের পর মুসলমানদের যে করুণ পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে, তা আপনার সামনেই রয়েছে। তাই আমার পরামর্শ হলো, সব প্রাদেশিক গভর্নরকে ডেকে আপনার জীবদ্দশায়ই ইয়াজিদের হাতে বাইয়াত নিয়ে উম্মতকে রক্তক্ষয়ী হাঙ্গামা থেকে রক্ষা করুন। 

এ পরামর্শ আনুযায়ী হজরত মুয়াবিয়া (رضي الله عنه) সব গভর্নরের কাছে এ মর্মে চিঠি প্রেরণ করলেন যে, আমি জীবন সায়াহ্নে পৌঁছে গেছি, তাই চাচ্ছি যে, মুসলমানদের কল্যাণে আমার জীবদ্দশায়ই একজন খলিফা নিযুক্ত করে যাব। অতএব তোমরা নিজ নিজ পরামর্শ ও তোমাদের পরামর্শদাতাদের মধ্যে যোগ্য ব্যক্তিদের পরামর্শও লিখে পাঠাও।

মদিনা শরীফে ১০ হাজার লোক হত্যা

এতে বেশির ভাগ আমিরই ইয়াজিদ ইবনে মুয়াবিয়ার পক্ষে রায় দিলেন। কুফা, বসরা, শাম ও মিসরের লোকেরা ইয়াজিদের হাতে বাইয়াত গ্রহণ করে নিল। বাকি মক্কা-মদিনার গুরুত্ব বিবেচনা করে মুয়াবিয়া (رضي الله عنه) স্বয়ং হিজাযে উপস্থিত হয়ে সেখানকার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে পরামর্শ করেন। এতে মক্কা-মদিনার জনসাধারণও ইয়াজিদের বাইয়াত গ্রহণ করে নিলেন। আর হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (رضي الله عنه), আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه), আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইর (رضي الله عنه), হুসাইন ইবনে আলী (رضي الله عنه). ও আব্দুর রহমান ইবনে আবী বকর (رضي الله عنه)- এ পাঁচজনের ব্যাপারে খেলাফত মেনে না নেওয়ার শঙ্কা থাকায় মুয়াবিয়া (رضي الله عنه) পৃথক পৃথক প্রত্যেকের সঙ্গে মিলিত হয়ে পরামর্শ করেন। 

এতে প্রথমোক্ত চারজন এ বলে মেনে নিলেন যে, সব লোক স্বতঃস্ফূর্তভাবে মেনে নিলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। শুধু হজরত আবদুর রহমান ইবনে আবী বকর (رضي الله عنه) এতে দ্বিমত পোষণ করলেন। এভাবে বেশির ভাগ উম্মতের রায় মতে ইয়াজিদের খেলাফত নিশ্চিত হলো। তাই মুয়াবিয়া (رضي الله عنه)-এর ইন্তেকালের পর ইয়াজিদ থেকে যেসব অন্যায় কাজ সংঘটিত হয়েছিল, তার দায়ভার মুয়াবিয়া (رضي الله عنه)-এর ওপর বর্তাবে না, বরং ইয়াজিদের অন্যায়ের জন্য তিনি নিজেই দায়ী- (তারিখে ইবনুল আসীর ৩/৯৭-১০০) ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Be alert before spamming comments.

নবীনতর পূর্বতন

Sponsored

Responsive Ad