তোমার কলেজ জীবনের কোনো তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনার অভিজ্ঞতা

তোমার কলেজ জীবনের কোনো তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনার অভিজ্ঞতা - Experience any significant event in your college life

 

তোমার কলেজ জীবনের কোনো তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনার অভিজ্ঞতা

তোমার কলেজ জীবনের কোনো তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনার অভিজ্ঞতা বর্ণনা কর। তো তোমরা যারা এইচএসসি পরীক্ষার্থী আছো তাদের জন্য অভিজ্ঞতা বর্ণনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ।

হযরত শাহজালাল (রহ)-এর মাজার পরিদর্শনের অভিজ্ঞতা বর্ণনা কর

আমার কলেজ জীবন ছিল পুরোটায় আমার জীবনের সেরা একটি মুহুর্ত। বন্ধু-বান্ধব ও শিক্ষকদের সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কাজে অংশগ্রহণ করেছি। এর মধ্যে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ হল ১লা ফেব্রুয়ারি, অর্থাৎ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। প্রথমে আমরা ছাত্র এবং শিক্ষকদের সাথে একসাথে মাতৃভাষা দিবস কীভাবে উদযাপন করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করি। অধ্যক্ষের নির্দেশে তিন দফায় তিনটি কর্মসূচি পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়। আমরা একজন শিক্ষকের নেতৃত্বে দশজন ছাত্রের একটি দল গঠন করি। একেক দল একেক নামে পরিচিত। শাপলা, দোয়েল, রয়েল বেঙ্গল টাইগার, ইলিশা প্রভৃতি দুটি দল কলেজ চত্বর সাজানোর দায়িত্বে ছিল। তারা বাংলাদেশের পতাকা, লাল-সবুজ কাগজ ও ভাষা শহীদদের ছবি দিয়ে কলেজ ক্যাম্পাস সজ্জিত করেন। ১লা ফেব্রুয়ারি সকালে ছাত্র-শিক্ষক সবাই খালি পায়ে শহীদ মিনারে 'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি' গানটি গেয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের পর অধ্যক্ষ স্যার একুশে ফেব্রুয়ারির ঘটনা ও তাৎপর্য তুলে ধরেন। শহীদদের জন্য দোয়া করেন কলেজ মসজিদের ইমাম ।

প্রথম পর্বের পর হালকা নাস্তা বিতরণের পর শুরু হয় রক্তদান কর্মসূচি। এই রক্তদান কর্মসূচিতে কলেজের ছাত্র-শিক্ষক-কর্মচারীসহ আশপাশের এলাকার বহু সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করেন। আমরা তাদের দান করা রক্ত সযত্নে সংরক্ষণ করি। এই দলে কাজ করতে পেরে আমি খুবই খুশি। এই সময়ে আমরা সাধারণ মানুষকে রক্তদানের গুরুত্ব ও উপকারিতা সম্পর্কে সচেতনতামূলক তথ্য দিচ্ছি।

নবীনবরণ অনুষ্ঠানের অভিজ্ঞতা বর্ণনা কর 

অভিজ্ঞতা বর্ণনা লেখার নিয়ম HSC

দুপুরের পর শুরু হয় তৃতীয় পর্ব। তৃতীয় পর্বে শুরু হয় বইমেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন নিয়ে আমার লেখা একটি নাটক মঞ্চস্থ হয়। আমি এবং আমার বন্ধুরা সেখানে খেলি। নাটকটি দেখে দর্শক ও শিক্ষকরা খুবই খুশি হয়েছেন। সেদিন আমার খুব ভালো লেগেছিল। এছাড়াও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দলীয় ও একক নৃত্য ও গান পরিবেশিত হয়। বিকেলে কলেজ ক্যাম্পাসে মুখরিত। অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের জন্য অনেক বই কেনেন। সবশেষে অধ্যক্ষের সমাপনী বক্তব্যের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়। আমি মনে করি প্রতিটি স্কুল-কলেজে এভাবে মাতৃভাষা দিবস পালন করা উচিত। আমার কলেজে মাতৃভাষা দিবস উদযাপনের অভিজ্ঞতা আমি কখনো ভুলব না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Be alert before spamming comments.

নবীনতর পূর্বতন

Sponsored

Responsive Ad