সূরা আনআমের প্রথম তিন আয়াত এর ফজিলত

 
২৪ হাজার ফেরেশতার কেয়ামত পর্যন্ত ইবাদতের সওয়াব

২৪ হাজার ফেরেশতার কেয়ামত পর্যন্ত ইবাদতের সওয়াব


আজ আমরা সূরা আনামের প্রথম তিন আয়াতের ফজিলত সম্পর্কে জানবো। এই তিনটি আয়াতের পুণ্য আমাদের জীবনে কতটা মূল্যবান তা জানলে অবাক হবেন। আমরা, মানুষ, আজ বা কাল মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে, এটি এমন একটি মুহূর্ত যার কোন নির্দিষ্ট সময় বা স্থান নেই। তাই আমাদের সবার উচিত মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত হওয়া। এই একটি কাজ আপনার জীবন বদলে দেবে।

প্রশ্নঃ কোন আমল করলে চব্বিশ হাজার ফেরেশতা কেয়ামত পর্যন্ত এবাদত করিতে থাকিবে ?

জবাবঃ হাদিস শরীফ এ বর্ণিত আছে, 

“যে ব্যক্তি সূরা আন্‌আম এর প্রথম তিন আয়াত সকাল বা বিকালে পাঠ করিবে, চব্বিশ হাজার ফেরেশতা কেয়ামত পর্যন্ত এবাদত করিতে থাকিবে এবং ঐ ফেরেশতাগণ এর সকল সওয়াব ঐ দোয়া পাঠকারী ব্যক্তির আমলনামায় লিখে দেওয়া হবে। একই সাথে, এমন একজন ফেরেশতা নিযুক্ত করা হবে, সে শয়তান এর মুখে চাবুক মারতে থাকবে; যেন শয়তান ঐ দোয়া পাঠকারী ব্যক্তিকে কোন প্রকার কুমন্ত্রণা দিতে না পারে। ইহার ফলস্বরূপ, শয়তান এবং দোয়া পাঠকারী ঐ ব্যক্তির মাঝে পর্দা পড়ে যায়। আর, কেয়ামত এর দিন আল্লাহ্‌ তা’য়ালা ঐ দোয়া পাঠকারী ব্যক্তিকে ডেকে বলবেন, “হে বান্দা! আমার আরশের ছায়ায় এসো। আমি তোমাকে জান্নাত এর খানা খাওয়াব, হাউজে কাউসার এর পানি পান করাব এবং সালসাবিল ঝর্নার পানি দ্বারা গোসল করাব।”


[ইমাম জালালুদ্দিন সুয়ূতীঃ তফসীরে জালালাইন শরীফ]


সূরা আন্‌আম এর প্রথম তিন আয়াত হলঃ

“আল হামদু লিল্লাহিল লাযী খলাকাস্‌ সামাওয়াতি ওয়াল আর্‌দা ওয়া যায়ালায্‌ যুলুমাতি ওয়াননূর ছুম্মাল লাযীনা কাফারু বিরব্বিহিম ইয়াদিলূনা। হুয়াল্‌ লাযী খলাক্কুম মিন ত্বীনিন ছুম্মা ক্ব-যা আযালান ওয়া আযালুম মুসাম্‌মান ইনদাহু ছুম্মা আন্‌তুম তামতারুন। ওয়াহুয়াল্লাহু ফিস্‌ সামাওয়াতি ওয়াফিল আরদি ইয়ায়লামু সির্‌রাকুম ওয়া যাহরাকুম ওয়া ইয়ায়্‌লামু মা তাকসিবুন।”












একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Be alert before spamming comments.

নবীনতর পূর্বতন

Sponsored

Responsive Ad