সড়ক দুর্ঘটনা অনুচ্ছেদ সকল শ্রেণির জন্য | বাংলা ২য় পত্র

সড়ক দুর্ঘটনা অনুচ্ছেদ সকল শ্রেণির জন্য | বাংলা ২য় পত্র - road accident paragraph for all classes


 অনুচ্ছেদ : সড়ক দুর্ঘটনা

বাংলাদেশের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম সড়ক। নানা কারণে এই সড়ক যোগাযোগ বিঘ্নিত হচ্ছে। সড়ক দুর্ঘটনা নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সংবাদপত্র ও টিভি চ্যানেল এখন শিরোনাম 'সড়ক দুর্ঘটনা'। তবে অনেক লেখালেখি ও পরামর্শের পরও সড়ক দুর্ঘটনা কমেনি, বরং প্রতিনিয়ত বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও।

প্রশ্ন উঠেছে বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছে নাকি একইভাবে চলছে। বিষয়টিকে নিয়তি হিসেবে বিবেচনা করলে কোনো প্রশ্নই ওঠে না। কিন্তু দুর্ঘটনা যদি মানবিক কারণে হয়ে থাকে তাহলে এর প্রতিরোধে গুরুত্ব দেওয়া খুবই জরুরি। কারণ প্রতিদিনের দুর্ঘটনা যে উদ্বেগ, উদ্বেগ, শোক এবং বেদনা সৃষ্টি করে তা অপরিমেয়। সড়ক দুর্ঘটনায় যারা অকাল মৃত্যুবরণ করে তাদের স্বজনদের হৃদয়ে স্থায়ী শোক রেখে যায়। কিন্তু যারা আহত তারা চিরকাল পঙ্গু ও অসহায় হয়ে বেঁচে থাকে, অন্যের দয়ায় বেঁচে থাকে। তবে আমাদের দেশে সড়ক দুর্ঘটনার হার অনেক বেশি।

এর অন্যতম কারণ চালকদের বেপরোয়া গাড়ি চালানো এবং লাইসেন্সবিহীন ও অযোগ্য যানবাহনের ক্রমাগত বৃদ্ধি, সরু ও আঁকাবাঁকা রাস্তা, ফুটপাতের হকারদের দখল এবং চালকের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলা। এছাড়া সড়ক পারাপারে সচেতনতার অভাব, অপরিকল্পিত স্পীড ব্রেকার, ফুট-ওভারব্রিজের ব্যবহার না করা এবং বিভিন্ন স্থানে যানবাহন পার্কিং করাও সড়ক দুর্ঘটনার জন্য দায়ী। সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করতে হলে লাইসেন্স দেওয়ার আগে গাড়িচালকদের দক্ষতা ও যোগ্যতা ভালোভাবে যাচাই করতে হবে।

পরিকল্পিত ট্রাফিক আইন চালু করতে হবে। কাঁচা রাস্তা প্রশস্ত করতে হবে। অনুপযুক্ত যানবাহনের উপর সম্পূর্ণ আইনি নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে হবে। নিয়মিত ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক এবং জরিমানার ব্যবস্থা করতে হবে। যানবাহনের বহন ক্ষমতার বাইরে অতিরিক্ত পণ্য ও যাত্রী বহন কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হবে। বেপরোয়া ও প্রতিযোগিতামূলক চালকদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। আর এই সব প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাই কমাতে পারে 'সড়ক দুর্ঘটনা'।

সব মিলিয়ে স্বরাষ্ট্র, যোগাযোগ ও আইন মন্ত্রণালয় তৎপর হলে সড়ক দুর্ঘটনা কমানো সম্ভব। আর আমাদের জাতীয় জীবনে এই সমস্যার সমাধান হলে অকালে বহু মূল্যবান প্রাণহানি রোধ করা সম্ভব হবে এবং নিরাপদ সড়কের বহু কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।

সড়ক দুর্ঘটনা অনুচ্ছেদ সকল শ্রেণির জন্য



অনুচ্ছেদ : সড়ক দুর্ঘটনা

সড়ক মহাসড়কগুলো এখন দুর্ঘটনাপ্রবণ এবং মোটরচালিত যানবাহনগুলো দানব ঘাতক। আমরা কেউই জানি না যে আমরা জীবনের প্রয়োজনীয় জিনিসগুলি নিয়ে সুস্থ শরীরে ফিরে যেতে পারব কিনা। কারণ যেকোন মুহুর্তেই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন অনেকেই। কেউ আহত হন, কেউ সারা জীবনের জন্য পঙ্গু হন এবং কেউ অকালে তাদের মূল্যবান জীবন হারান। বহু পরিবার প্রাণ হারিয়ে চরম দুর্দশায়, নিঃস্ব হয়ে পথে বসে আছে। বন্ধ হয়ে যাচ্ছে শিশুদের লেখাপড়া ও চিকিৎসা। এই পরিবারের সদস্যরা শেষ মেটাতে সংগ্রাম করছে। কিন্তু যারা এসব দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের বিচার হচ্ছে না। এমনকি গাড়ির মালিক বা সরকারও কোনো সহায়তা দিচ্ছে না। ফলে দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবার আরও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। বাংলাদেশে প্রতি বছর অন্তত ১০ হাজার দুর্ঘটনা ঘটে এবং এসব দুর্ঘটনায় অন্তত ৫ হাজার মানুষ মারা যায়। আহত হয়েছেন অন্তত দশ হাজার মানুষ। অনুন্নত রাস্তা, অদক্ষ চালক, ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, ত্রুটিপূর্ণ ট্রাফিক ব্যবস্থা, বহুমুখী দুর্নীতি, মানুষের অজ্ঞতা দুর্ঘটনার কয়েকটি কারণ। দুর্ঘটনা কমাতে সড়কের উন্নয়ন, বাইপাস সড়ক নির্মাণ, ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নয়ন, চালকদের প্রশিক্ষণ ও উদ্বুদ্ধকরণ, দুর্নীতি প্রতিরোধ, ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন নিষিদ্ধ, আইনের অভিযোজন ও জনসচেতনতা সৃষ্টি প্রয়োজন।

সড়ক দুর্ঘটনা অনুচ্ছেদ

ভোরের আলো পৃথিবীকে আলোকিত করার আগেই মানুষের কার্যকলাপ শুরু হয়। আর এই ব্যস্ততায় ঘটছে নানা ধরনের দুর্ঘটনা, যার মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনা অন্যতম। নিরাপদ জীবনযাত্রার জন্য সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিনিয়ত হুমকিস্বরূপ। বর্তমানে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও সড়ক দুর্ঘটনা নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিঃসন্দেহে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছে বহু মানুষ। আজকাল খবরের কাগজের পাতা খুললেই চোখে পড়ে সড়ক দুর্ঘটনার অনেক মর্মান্তিক খবর। উদাহরণস্বরূপ, বাস এবং মিনিবাসের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ বা বাস ট্রাক বা মিনিবাসের সাথে রিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ, যানবাহনের নিয়ন্ত্রণ হারানো বা এমনকি পায়ে হেঁটে রাস্তা পার হওয়ার কারণে অনেক পথচারী সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হন। এই দুর্ঘটনাগুলো আমাদের দরজায় দাঁড়িয়ে মৃত্যুর দূত। কাঁচা রাস্তা, অতিরিক্ত যানবাহন, ট্রাফিক ব্যবস্থার ত্রুটি, ভাঙা রাস্তা, ত্রুটিপূর্ণ ইঞ্জিন ও চালকের অবহেলা, দক্ষ ও প্রশিক্ষিত চালকের অভাব, অতিরিক্ত যাত্রী বহন, অসতর্কভাবে রাস্তা পার হওয়াসহ নানা কারণে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। অনিয়ন্ত্রিত ওভারটেকিংয়ের মতো দুর্ঘটনা যতই ঘটুক না কেন, এর পরিণতি ভয়াবহ। এই সড়ক দুর্ঘটনায় মানবসম্পদ হারিয়ে সবচেয়ে বড় ক্ষতি। এসব সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমানোর উপায় বের করা খুবই জরুরি। এসব দুর্ঘটনা এড়াতে ট্রাফিক আইনের আধুনিকীকরণ, আইন প্রয়োগের ওপর জোর, সড়ক সংস্কার, চালকদের প্রশিক্ষণ ইত্যাদি প্রয়োজন। এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সবাইকে উৎসাহিত করতে হবে। একই সঙ্গে পথচারীরা সচেতন হলে সড়ক হবে নিরাপদ, নাগরিক জীবন নিশ্চিত হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Be alert before spamming comments.

নবীনতর পূর্বতন

Sponsored

Responsive Ad