প্রতিবেদন : জাতি গঠনে নারীসমাজের ভূমিকা

 
প্রতিবেদন : জাতি গঠনে নারীসমাজের ভূমিকা

প্রতিবেদন : জাতি গঠনে নারীসমাজের ভূমিকা

এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য বাংলা রিপোর্ট লেখার পদ্ধতি নিম্নলিখিত ধাপগুলি অনুসরণ করে লেখা যেতে পারে:

ধাপ ১: সংবাদ নির্বাচন করুন

প্রথমে আপনাকে একটি সংবাদ আইটেম নির্বাচন করতে হবে। খবরটি বাংলা দৈনিক সংবাদপত্র বা অনলাইন সংবাদপত্র থেকে নেওয়া যেতে পারে। সংক্ষেপে আপনার নির্বাচিত সংবাদ আইটেম বর্ণনা করুন.

ধাপ ২: লেখার উদ্দেশ্য নির্ধারণ করুন

সম্পাদক বা পত্রিকার নিকট আপনার লেখার উদ্দেশ্য নির্ধারণ করুন। আপনি কেন রচনা লিখছেন তা সংজ্ঞায়িত করা উচিত। নিবন্ধটি জনসাধারণকে জানানোর জন্য কি সমস্যা বা বিষয়ে লেখা হয়েছে তা নির্ধারণ করুন।

ধাপ ৩: প্রথমে লেখার অভ্যাস করুন

রচনার শুরুতে লেখার উদ্দেশ্য উল্লেখ করতে হবে। তারপর সংবাদের বিষয়, সম্পাদকের নাম ও তার মন্তব্য প্রদান করতে হবে। এছাড়াও, প্রথম লেখার অনুশীলনে আপনাকে সংবাদের মূল পয়েন্টগুলি নির্দেশ করতে হবে।

ধাপ ৪: বিশদ বিবরণ

আপনাকে বিস্তারিতভাবে টেক্সট বর্ণনা করতে হবে। সংবাদের সারাংশ থেকে আপনার নিজের ভাষায় ব্যাখ্যা করুন। পাঠ্য বা আপনার লিখনি সংক্ষিপ্ত এবং পরিষ্কার হওয়া উচিত। আপনাকে খবরের বিস্তারিত জানতে হবে এবং প্রয়োজনে অতিরিক্ত তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। আপনার লিখাটি জনগনের উপকারে কাজ করে এবং বিষয়টি কীভাবে দেশের মানুষের জীবন বা সমাজের উন্নয়নের সাথে সম্পর্কিত তা অপরিহার্য হবে।

ধাপ ৬: সমাপ্তি

লেখার শেষে সব টপিক একসাথে এনে শেষ করতে হবে। এটি সাধারণত লেখার মাঝখানে প্রদর্শিত হয়। এছাড়াও আপনার মতামত লেখার শেষে উপস্থাপন করা যেতে পারে। এটি আপনার মতামত এবং ভবিষ্যত পরিকল্পনা সম্পর্কে আপনার লেখার পাঠকদের অবহিত করার একটি মাধ্যম হতে পারে।

সম্ভবত এই পদ্ধতিটি আপনাকে বাংলা রিপোর্ট বা প্রতিবেদন লিখতে সাহায্য করবে। এটি একটি পদ্ধতিগত পদ্ধতি যা আপনাকে সহজেই একটি প্রতিবেদন লিখতে সাহায্য করবে ।।


'জাতি গঠনে নারীসমাজের ভূমিকা' শীর্ষক একটি প্রতিবেদন তৈরি করো।

জাতি গঠনে নারীসমাজের ভূমিকা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি : কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ 'জাতি গঠনে নারী সমাজের ভূমিকা' শীর্ষক আলোচনার আয়োজন করা হয় গত ৬ এপ্রিল, ২০২৩ কবি নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে। এ আলোচনায় কলেজের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক ও শুভানুধ্যায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।


সভায় আলোচকরা একমত হন যে সমাজে নারী ও পুরুষের অবদানকে আলাদাভাবে দেখার কোনো অবকাশ নেই। দুজনে মিলে গড়ে তুলছেন সমাজ, সভ্যতা ও দেশ। তাই নারীদের পেছনে ফেলে কোনো দেশ ও জাতি উন্নতি করতে পারে না। নারী সমাজের অর্ধেক। তাই সমাজের অর্ধেক শক্তিকে অবমূল্যায়ন করে দেশের উন্নয়ন কখনোই করা যায় না এবং করাও উচিত নয়। একটি গাড়ি যেমন তার একটি চাকা ভেঙে গেলে বেশিদূর এগোতে পারে না, তেমনি একটি শিক্ষিত সমাজও এগিয়ে যেতে পারে না যদি সমাজের অর্ধেক শক্তি নারীরা অবহেলিত হয়।

নারীরা শিক্ষিত হলে জাতি শিক্ষিত হবে। আর শিক্ষা ছাড়া জাতীয় উন্নয়ন কল্পনা করা যায় না। তাই হয়তো নেপোলিয়ন বোনাপার্ট বলেছিলেন, 'আমাকে একজন শিক্ষিত মা দাও আমি তোমাকে একটি সুন্দর জাতি দেব।' তাই নারীদের চার দেয়ালের মধ্যে আবদ্ধ না রেখে পুরুষের সমান তালে কাজ করার সুযোগ দিলে দেশ ও জাতি ভবিষ্যৎ উন্নয়নের দিকে দ্রুত এগিয়ে যেতে পারবে। সহজ কথায়, উন্নত জাতি গঠনে নারীর ভূমিকা অস্বীকার করার উপায় নেই। বক্তারা সকল ক্ষেত্রে নারী অধিকারের পূর্ণ বাস্তবায়নে সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Be alert before spamming comments.

নবীনতর পূর্বতন

Sponsored

Responsive Ad