ঘরে ডেকে কর্মীদের শারীরিক হেনস্থা! পলাতক সন্ন্যাসীর


 

ঘরে ডেকে কর্মীদের শারীরিক হেনস্থা! পলাতক ইস্কনের সন্ন্যাসীর

ইস্কনের প্রধান কার্যালয় মায়াপুরে এক সন্ন্যাসীর বিরুদ্ধে ‘বিকৃত কাম’ এবং ‘যৌন হেনস্থার’ অভিযোগ করলেন বেশ কয়েক জন কর্মী। অভিযোগকারীদের প্রত্যেকেই মায়াপুর ইস্কনের নিরাপত্তারক্ষী। অভিযুক্ত ইস্কনের ‘চিফ কো-অর্ডিনেটর’-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন বলে খবর। তবে থানায় অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর থেকেই অভিযুক্ত পলাতক। ওই সন্ন্যাসীকে ইতিমধ্যে বরখাস্ত করেছেন ইস্কন কর্তৃপক্ষ।

অভিযোগকারীরা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন, গত ৪ মাস ধরে তাঁদের যৌন হেনস্থা করেছেন ওই সন্ন্যাসী। এক নিরাপত্তারক্ষীর অভিযোগ, ২০১১ সালের ১৬ জানুয়ারি তাঁকে ব্যক্তিগত চেম্বারে ডেকে পাঠানো হয়। এর পর ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করে দিয়ে তাঁর উপর দীর্ঘ সময় ধরে যৌন নির্যাতন চালান সন্ন্যাসী। তাঁর অভিযোগ, নির্যাতনের পর পায়ুদ্বার ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়। নিজের ‘বিকৃত’ যৌন চাহিদা মেটানোর জন্য ওই সন্ন্যাসী তাঁকে আরও বেশ কয়েক বার চাপ দিয়েছেন। শুধু তা-ই নয়, ওই কর্মীর দাবি, তাঁর চার সহকর্মীর উপরও যৌন নির্যাতন চালিয়েছেন ওই সন্ন্যাসী। এ নিয়ে মুখ খুললে কাজ থেকে বার করে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। হুমকি দেওয়া হয় খুনেরও।

অভিযুক্ত অবশ্য যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন। তাঁর দাবি, কয়েক জনের কাজে গাফিলতি ধরে ফেলায় তাঁকে হেনস্থার জন্য এই সব অভিযোগ আনা হচ্ছে। যদিও বিষয়টিকে হালকা ভাবে নেননি ইস্কন কর্তৃপক্ষ। পুলিশে অভিযোগ দায়ের হতেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ওই সন্ন্যাসীকে সমস্ত দায়িত্ব থেকে বরখাস্ত করেছেন ইস্কন কর্তৃপক্ষ। ইস্কন শৃঙ্খলারক্ষা কমিটিকে এ ব্যাপারে তদন্ত করে দ্রুত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

অভিযুক্ত সন্ন্যাসীর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪২, ৩৭৭ এ, ৫০৬ ধারায় নবদ্বীপ থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। এর আগেও একাধিক বার ওই সন্ন্যাসীর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ওঠে। তবে অভিযোগের পরেও তা কোনও কারণে প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন দুই অভিযোগকারী। এখন ওই সন্ন্যাসীর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।

সুত্র: আনন্দ বাজার 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Be alert before spamming comments.

নবীনতর পূর্বতন

Sponsored

Responsive Ad