গীবত থেকে বাঁচার দোয়া

গীবত থেকে বাঁচার দোয়া




গীবত থেকে বাঁচার দোয়া 


بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ- وَصَلَّ اللّٰهُ عَلٰی مُحَمّدٍ صَلَّی اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.0


📖 আরবী উচ্চারণঃ‌
বিস‌মিল্লা-‌হির রহমা-‌নির রহী‌মি, ওয়া ছ্বল্লাল্ল-হু 'আলা মুহাম্মাদিন (অথবা) ছ্বল্লাল্ল-হু 'আলাই‌হি ওয়া সাল্লামা।

📖 অনুবাদঃ আল্লাহ'র না‌মে আরম্ভ, যি‌নি পরম দয়ালু,করুণাময়- আল্লাহর রহমত মুহাম্মদ (দ) উপর ব‌র্ষিত হোক অথবা আল্লাহর রহমত ও সালাম তাঁর উপর ব‌র্ষিত হোক।

📖 ফ‌যিলতঃ নবী ক‌রিম(দ) ইরশাদ কর‌তে‌ছেন, যখন কোন বৈঠ‌কে বস‌বে (উক্ত দো'আ) পড়‌বে, তখন আল্লাহ পাক তোমার জন্য একজন ফে‌রেশতা নির্ধারণ ক‌রে দি‌বেন, যি‌নি তোমা‌কে অ‌ন্যের গীবত বা পর‌নিন্দা থে‌কে রক্ষা কর‌বেন। আর যখন বৈঠক শেষ হ‌বে (উক্ত দো'আ)পড়‌বে, তখন ঐ ফে‌রেশতা মানুষ‌কে তোমার গীবত বা পর‌নিন্দা হ‌তে রক্ষা কর‌বেন।
 [সূত্রঃ আল ক্বওলুল বদী]

গীবতের প‌রিচয়ঃ 


হযরত আবু হুরাইরা (রা) হ‌তে ব‌র্ণিত, তি‌নি ব‌লেন, নিশ্চয় নবী পাক (দ) বল‌তে‌ছেন, তোমরা কি জান গীবত কা‌কে ব‌লে? সাহাবীগণ বল‌লেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই ভাল জা‌নেন। 
রাসুল (দ) ইরশাদ কর‌তে‌ছেন, তোমা‌দের কোন ভাই সম্প‌র্কে এমন কথা বলা, যা শুন‌লে সে তার কা‌ছে খারাপ লাগ‌বে(আঘাত পা‌বে)। জিজ্ঞাসা করা হ‌লো, য‌দি আমার ভাই‌য়ের ম‌ধ্যে উক্ত দোষ থা‌কে?
যে দোষ সম্প‌র্কে আ‌মি বললাম,তবুও কি গীবত হ‌বে? (সাহাবী‌দের প্রশ্ন), রাসূল (দ) বল‌লেন, তু‌মি যে দো‌ষের কথা ব‌ল‌লে, তা য‌দি তার ম‌ধ্যে থা‌কে ত‌বে তু‌মি গীবতই কর‌লে। আর তু‌মি যে দো‌ষের কথা বলছ, তা য‌দি তার ম‌ধ্যে না থা‌কে, তাহ‌লে তু‌মি তার উপর মিথ্যা অপবাদ দি‌লে। 
[সূত্রঃমুস‌লিম শরীফ]

গীব‌তের কুফলঃ 

নবী পাক (দ) ইরশাদ কর‌তে‌ছেন, তোমরা গীবত হ‌তে দূ‌রে থাক। কেননা এ‌তে তিন‌টি বলা মু‌সিবত র‌য়ে‌ছে। ১.যে গীবত ক‌রে তার দো'আ ক্ববুল হয় না।
 ২.তার ভালকাজগু‌লো আল্লাহর নিকট গ্রহণ‌যোগ্য হয় না।
 ৩.তার পাপ বৃ‌দ্ধি পে‌তে থা‌কে।
[সূত্রঃদুররুল মুখতা‌রের পাদ টীকা]

গীবত হ‌তে বাঁচার উপায়ঃ 

হযরত আব্দুল্লাহ ইব‌নে আব্বাস (রা) ব‌লেন,যখন তু‌মি তোমার কোন মানু‌ষের গীবত তথা তার দোষ অন্য‌কে বল‌তে চাই‌বে, তখন তু‌মি নি‌জের দোষ-ক্র‌টির কথা স্মরণ ক‌রো।

আল্লাহ পাক সবাই‌কে অ‌ন্যের গীবত হ‌তে রক্ষা করুন। আমীন।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Be alert before spamming comments.

নবীনতর পূর্বতন

Sponsored