লাইলাতুল মেরাজ : মেরাজের রাতে সংঘটিত ঘটনা ও ইতিহাস

লাইলাতুল মেরাজ : মেরাজের রাতে সংঘটিত ঘটনা ও ইতিহাস Events and History of the Night of Meraj


লাইলাতুল মেরাজ : মেরাজের রাতে সংঘটিত ঘটনা ও ইতিহাস


মিরাজ শরীফের সূচনা

রজনী দ্বিপ্রহর।ঘন অন্ধকারে আকাশ আচ্ছন্ন। নিস্তব্ধ নির্জন চারদিক।একটা অস্বাভাবিক গাম্ভীর্যে প্রকৃতি স্তব্ধ হয়ে আছে।সৃষ্টির সেরা মাহবুবে মতলক নূরনবী হযরত মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কা’বা গৃহের চত্বরে ঘুমিয়ে আছেন। এমন সময় তিনি শুনতে পেলেন কে যেন তাঁকে ডাকছে, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! এতে মাহবুবে খোদা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ঘুম ভেঙে গেল। জেগে দেখলেন, হযরত জিব্রাইল আলাইহিস সালাম শিয়রে দণ্ডায়মান। অদূরে ‘বোরাক’ নামক একটি অদ্ভূত জ্যোতির্ময় বাহন অপেক্ষা করছে। ডানা বিশিষ্ট অশ্বের মত রূপ, ক্ষিপ্র তার গতিবেগ।) মি’রাজ প্রসঙ্গে আল্লাহ আজ্জা ওয়া জাল্লাহ শানুহু কালামে পাকের পনেরো পারা সূরায়ে বনী ইসরাইল প্রথম রুকুর মধ্যে এরশাদ করেন-


سبحان الذى اسرى بعبده ليلا من المسجد الحرام الى المسجد الاقصى الذى باركنا حوله لنريه من ايتنا انه هو السميع البصير- 

আ’লা হযরত ইমাম আহমদ রেজা খাঁন আলাইহির রহমত ‘কানযুল ঈমান’ নামক কিতাবে উপরোক্ত আয়াতে কারিমার উর্দু তরজমা করেছেন-


پاکی ہے اسے جو اپنے بندے کو راتوں رات لے گیا مسجد حرام سے مسجد اقصا تک جس کے گرد اگرد ہم نے برکت رکھی کہ ہم اسے اپنی عظیم نشانیاں دکھائیں بیشک وہ سنتا دیکھتا ہے- 


তরজমা- পবিত্রতা তাঁরই (আল্লাহরই) জন্য। যিনি আপন বান্দাকে, রাতারাতি নিয়ে গেছেন, মসজিদে হারাম হতে মসজিদই আকসা পর্যন্ত, যার আশেপাশে আমি বরকত রেখেছি, যাতে আমি তাঁকে আপন মহান নিদর্শনসমূহ দেখাই। নিশ্চয় তিনি শুনেন, দেখেন।’ চতুর্দশ শতাব্দীর মুজাদ্দিদ ইমাম আহমদ রেজা খাঁন বেরলভী আলাইহির রহমত এর তরজমাই কুরআন ‘কানযুল ঈমান’ নামক কিতাবের তাফসির (হাশিয়া) ‘খাযাইনুল ইরফান’ নামক কিতাবে সদরুল আফাজিল আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ নঈম উদ্দিন মুরাদাবাদী আলাইহির রহমত উপরোক্ত আয়াতে কারিমার তাফসিরে উল্লেখ করেন- ‘সূরায়ে বনী ইসরাইল। এ সূরা মোবারকের অপর নাম ‘সূরা ইসরা এবং সূরায়ে সুবহানও বলা হয়ে থাকে। سبحان আল্লাহতা’য়ালার সত্ত্বা সর্বপ্রকার দোষ-ত্রুটি অক্ষমতা দূর্বলতা থেকে একেবারেই পূতঃপবিত্র। সেই আল্লাহ তাঁর মাহবুব মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে মি’রাজের রাত্রিতে মসজিদে হারাম থেকে মসজিদে আকসা পর্যন্ত নিয়ে গেলেন। যার দূরত্ব চল্লিশ মনজিল, অর্থাৎ সোয়া এক মাসেরও অধিক পথ। 

লাইলাতুল মেরাজ : মিরাজ এবং ইসরা এর পার্থক্য কি?

শানে নুযুল: যখন কুল কায়েনাতের সরদার মাহবুবে মতলক হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মি’রাজের রাত্রে সর্বোচ্চ মর্যাদা ও উন্নত স্তরসমূহে উপনীত হলেন, তখন কুল কায়েনাতের স্রষ্টা আল্লাহ আজ্জা ওয়া জাল্লা সম্বোধন করলেন- ‘হে মুহাম্মদ! (মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এ সকল মর্যাদা ও সম্মান আমি আপানাকে কেন দান করছি? উত্তরে মাহবুবে খোদা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরজি পেশ করলেন, এজন্য যে, আপনি আমাকে عبديت আবদিয়ত সহকারে (আপনার মাহবুব বান্দা হিসেবে) নিজের দিকে সম্পৃক্ত করেছেন।’ এ প্রসঙ্গে এ বরকতময় আয়াতে কারিমা অবতীর্ণ হয়েছে। (খাযিন) الذى بركنا حوله لنريه من ايتنا (যাতে আমি তাঁকে আপন মহান নিদর্শনসমূহ দেখাই) ধর্মীয় ও পার্থিব উভয় প্রকারের নিদর্শন। কেননা মসজিদে আকসা হলো পবিত্র ভূমি, আল্লাহতা’য়ালার পক্ষ থেকে ওহি অবতরণ স্থল, নবীগণ আলাইহিমুস সালাম এর ইবাদতের স্থান, তাঁদের অবস্থান স্থল এবং ইবাদতের কিবলা। এতদ্ব্যতীত অসংখ্য নদী, নহর ও গাছপালা দ্বারা ঐ ভূমি সবুজ-সজিব এবং ফল-মূলের আধিক্যের কারণে সুখ-স্বাচ্ছন্দের উত্তম স্থান। মি’রাজশরীফ ছরকারে কায়েনাত সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এক অনন্য মু’জিযা ও আল্লাহ জাল্লা শানুহুর এক মহান অনুগ্রহ। এ থেকে হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এমন পরিপূর্ণ নৈকট্যপ্রাপ্তির শান প্রকাশ পায়, যা আল্লাহতা’য়ালার কুল কায়েনাতের সৃষ্টিজগতে মাহবুবে মতলক নবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ব্যতীত অন্য কারো ভাগ্যে অর্জিত হয়নি। নবূয়তের দ্বাদশ সালে ছরকারে কায়েনাত সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মি’রাজ এর মত অনন্য মু’জিযা দ্বারা ধন্য হয়েছেন। মাস সম্পর্কে মতভেদ রয়েছে, কিন্তু প্রসিদ্ধতম অভিমত হচ্ছে- ২৭ রজব নূরনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মি’রাজশরীফ হয়েছিল। 

নূরনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মি’রাজ শরীফ জাগ্রত অবস্থায় শরির মোবারক ও রূহ মোবারক সহকারে সংঘটিত হয়েছে। অধিকাংশ মুসলমানগণের আকিদা বা দৃঢ় বিশ্বাস ইহাই। রাসূলে করিম রাউফুর রাহীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জলিল কদর সাহাবিদের মধ্যে এক বিরাট দল এ মতেরই ধারক। সুষ্পষ্ট ও সন্দেহাতীত অর্থ সংবলিত কুরআনশরীফের আয়াত ও হাদিসসমূহ থেকেও এ আকিদা স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়। একাদশ শতাব্দীর মুজাদ্দিদ আশ শায়খ মুহাক্বিক আল্লামা শেখ আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী আলাইহির রহমত (বেলাদত ৯৫৮ হিজরি, ওফাত ১০৫২ হিজরি) তদীয় مدارج النبوة ‘মাদারিজুন নবুয়ত’ কিতাবের প্রথম জিলদের ১৯০ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেছেন-


تحقیق آنست کہ محمول است برقصۂ معراج گفت بندۂ مسکین ثبتہ اللہ فی مقام الصدق والیقین کہ اشارت قول سبحانہ لنريه من اياتنا بمعراج است یعنی مسجد اقصی بروتا ازانجا بسموات بردہ آیات را بنماید چہ ارادت آیات وظھور غایت کرامات ومعجزات در سموات بود ومقتصر بنود برانچہ واقع شدہ در مسجد اقصی وبرون مسجد اقصی مبداء آنست در ایجہت ذکرکرد مسجد اقصی را ودر واقع اگردر منام می بود استبعاد نمیکردند آنرا کفار ودرفتنہ نمی افتادند ضعفای مومنین ونیز وقوع وقائع وقضایا خارج از حصر واحصا غیر متعارف ست در نوم- 

ভাবার্থ: মিসকীন বান্দা (গ্রন্থকার মুহাক্বিক শেখ আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী আলাইহির রহমত) বলেন- আল্লাহ সুবহানাহু ও তা’য়ালার নূরানী ফরমান- لنريه من ايتنا ‘যাতে আমি তাঁকে আমার কিছু নিদর্শন দেখাই।’ এ আয়াতে কারিমার দ্বারা মি’রাজের রাতের প্রতিই ইঙ্গিত করা হয়েছে। মুদ্দাকথা হলো এই যে, মসজিদে আকসা পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়, এমনকী তথা হতে আকাশম-লে নিয়ে গিয়ে সকল নিদর্শনসমূহকে দেখানো হয়। কারণ নিদর্শনসমূহকে প্রদর্শিত করা এবং চুড়ান্ত অলৌকিকত্ব ও কারামতকে প্রকাশিত করা আকাশম-লে হয়েছিল এবং মসজিদে আকসায় যা কিছু ঘটেছিল এর উপরই কেবল সীমাবদ্ধ ছিল না। 

মসজিদে আকসা পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া, উহা এ মি’রাজের প্রারম্ভিক স্থান ছিল। সে হিসেবে কালামেপাকে মসজিদে আকসাকে উল্লেখ করা হয়েছে। অপরদিকে ঘটনা যদি স্বপ্নযোগে হতো তো কাফেররা এ মি’রাজকে অসম্ভব বলে ধারণা করত না এবং দূর্বলমনা ঈমানদারগণ বিভ্রান্তির মধ্যে পতিত হতো না। মুফতিয়ে বাগদাদ আল্লামা সৈয়দ মাহমুদ আলুসি হানাফি বাগদাদী আলাইহির রহমত (ওফাত ১২৭০ হিজরি) তদীয় তাফসিরে روح المعانى ‘রুহুল মা’য়ানী’ নামক কিতাবের পঞ্চম জিল্দ (১৫ পারা বৈরুত ছাপা) ১০ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেন-


ذكر العلائى فى تفسيره انه كان للنبى عليه الصلوة والسلام ليلة الاسراء خمسة مراكب الاول البراق الى بيت المقدس الثانى المعراج منه الى السماء الدنيا الثالث اجنحة الملائكة منها الى السماء السابعة الرابع جناح جبريل عليه السلام منها الى سدرة المنتهى الخامس الرفرف منها الى قاب قوسين- 


ভাবার্থ: আল্লামা আলাঈ আলাইহির রহমত স্বীয় তাফসিরে উল্লেখ করেছেন, নিঃসন্দেহে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্য ইসরার রজনীতে পাঁচ প্রকার বাহন ছিল। প্রথমত: বোরাক, তা দ্বারা বায়তুল মুকাদ্দাস পর্যন্ত গমন। দ্বিতীয়ত: তথা হতে (বায়তুল মুকাদ্দাস) দুনিয়ার আসমান পর্যন্ত ঊর্ধ্বারোহন। তৃতীয়ত: তথা হতে (প্রথম আসমান) সাত আসমান পর্যন্ত ফেরেশতাগণের ডানা দ্বারা। চতুর্থত: তথা হতে সিদরাতুল মুন্তাহা পর্যন্ত হযরত জিব্রাঈল আলাইহিস সালামের ডানা দ্বারা। পঞ্চমত: তথা হতে قاب قوسين কা’বা কাউসাইন পর্যন্ত রফরফ দ্বারা। আল্লামা আলুসি বাগদাদী আলাইহির রহমত উক্ত কিতাবের ১০ পৃষ্ঠায় আরো উল্লেখ করেছেন-

وذكر مولانا عبد الرحمن الدشتى ثم الجامى ان المعراج الى العرش بالروح والجسد والى ما وراء ذلك بالروح فقط- 


অর্থাৎ ‘মাওলানা আব্দুর রহমান দাশতী ও আল্লামা মুল্লা জামি আলাইহির রহমত তাঁরা উভয়ে উল্লেখ করেছেন, নূরনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মি’রাজশরীফ হয়েছে, স্বশরিরে রূহ মোবারক ও শরির মোবারক উভয়টি সহকারে আরশে আজিম পর্যন্ত। অপরদিকে আরশে আজিমের উপরে শুধুমাত্র রূহানি মি’রাজ হয়েছিল।’ অতঃপর তিনি আরো উল্লেখ করেন-

ولم اقف على مسند له من الاثار وكانه لاحظ ان العروج فوق العرش بالجسد يستدعى مكانا- وقد تقرر عند الحكماء ان ما وراء العرش لا خلا ولاملاوبه تنهى الامكته وتنقطع الجهات- 


ভাবার্থ: আছার (হাদিসের একটা প্রকার) থেকে এ প্রসঙ্গে কোন সনদ বা সূত্র আছে বলে আমি অবগত নই। আর শারিরিকভাবে বা স্বশরিরে আরশের উপরে ঊর্ধ্বারোহন হওয়ার মত সেখানে কোন অংশ নেই। কেননা আরশের উপরে স্বশরিরে ঊর্ধ্বারোহনের জন্য সেখানে মাকান বা স্থানের দাবি জরুরি হয়ে পড়ে। হুকামা বা বিজ্ঞজনের বক্তব্য হচ্ছে, আরশ ব্যতীত (আরশের উপরে) এমন এক অবস্থা যা খালিও নয় এবং পরিপূর্ণও নয়, বরং এখান হলো মাকানের শেষ প্রান্ত এবং এখানে দিক বলতে কিছুই নেই।’ ফলকথা আরশের উপরের এমন এক অবস্থা যা খালিও নয় এবং ভরাও নয়। যেখানে উত্তর-দক্ষিণ, পূর্ব ও পশ্চিম বলতে কিছুই নেই। এখানে হলো মাকানের শেষ প্রান্ত। সুতরাং আরশের উপরে স্বশরিরে মি’রাজ বা ঊর্ধ্বারোহণ সম্ভবপর নয়। এজন্য বলা হয়েছে, আরশের উপরের মি’রাজ হলো হাবিবে খোদার রূহ মোবারকের মি’রাজ। উপরে দলিলভিত্তিক আলোচনা দ্বারা স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হলো যে-


১. নূরনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মি’রাজশরীফ জাগ্রত অবস্থায় শরির মোবারক ও রূহ মোবারক উভয়টি সহকারে সংঘটিত হয়েছে আরশ পর্যন্ত।

২. মি’রাজশরীফের প্রথম স্তর মসজিদে আকসা বা বায়তুল মুকাদ্দাস পর্যন্ত (বোরাক দ্বারা গমন) কুরআনশরীফের কেতয়ী আয়াতে কারিমা দ্বারা প্রমাণিত।

৩. মি’রাজশরীফের দ্বিতীয় স্তর বায়তুল মুকাদ্দাস থেকে সিদরাতুল মুন্তাহা পর্যন্ত বোরাক দ্বারা প্রথম আসমান মশহুর হাদিস দ্বারা প্রমাণিত।ফেরেশতাগণের ডানার দ্বারা সপ্তম আকাশ পর্যন্ত এবং তথা হতে জিব্রাঈল আলাইহিস সালামের ডানা দ্বারা সিদরাতুল মুন্তাহা পর্যন্ত।

৪. মি’রাজশরীফের তৃতীয় স্তর হলো সিদরাতুল মুন্তাহা থেকে আরশ বা কা’বা কাউসাইন পর্যন্ত রফরফ দ্বারা ভ্রমণ খবরে ওয়াহিদ দ্বারা প্রমাণিত।

৫. মি’রাজশরীফের চতুর্থ স্তর হলো আরশের উপরে শুধুমাত্র রূহ মোবারক এর সফর। কারণ আরশ ব্যতীত, আরশের উপর-

(لا خلا ولاملاوبه تنتهى الامكنة وتنقطع الحهات- روح المعاننى) 

এর এমন এক অবস্থা খালিও নেই, ভরাও নেই, মাকানের শেষপ্রান্ত যেখানে দিকসমূহ কর্তিত। ফলকথা হলো উত্তর দক্ষিণ পূর্ব ও পশ্চিম বলতে কোন দিকই নেই এবং খালিও নয় পরিপূর্ণও নয়। অর্থাৎ কোন মাকান নেই। মি’রাজশরীফের চতুর্থ স্তর, আরশের উপরের যে তত্ত্ব দেয়া হয়েছে তা আল্লামা আলুসি বাগদাদী, মাওলানা আব্দুর রহমান দাশতী ও মুল্লা জামি আলাইহিমুর রহমত তাঁদের তাহকিকাতের আলোকে দেয়া হয়েছে।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Be alert before spamming comments.

নবীনতর পূর্বতন

Sponsored

Responsive Ad