আমরা যে কত শিক্ষালোভী তার প্রমাণ সারাংশ

আমরা যে কত শিক্ষালোভী তার প্রমাণ আমাদের পাঁচ বৎসর বয়সে হাতেখড়ি হয়।

 

আমরা যে কত শিক্ষালোভী তার প্রমাণ আমাদের পাঁচ বৎসর বয়সে হাতেখড়ি হয়।


আমরা যে কত শিক্ষালোভী তার প্রমাণ আমাদের পাঁচ বৎসর বয়সে হাতেখড়ি হয়। আর কমসে কম একুশ বৎসর বয়সে হাতে কালি মুখে কালি মেখে আমরা সেনেট হাউস থেকে লিখে আসি। কিন্তু এতেও আমাদের শিক্ষার সাধ মেটে না। এরপরে আমরা সারাজীবন যখন যা কিছু পড়ি তা কবিতাই হউক, আর গল্প হউক-আমাদের মনে স্বতঃই এ প্রশ্নের উদয় হয় যে, আমরা এ পড়ে কী শিক্ষা লাভ করলুম, এ প্রশ্নের উত্তর মুখে মুখে দেওয়া অসম্ভব; কেননা, সাহিত্যের যা শিক্ষা তা হাতে হাতে পাওয়া যায় না। সাহিত্য যা দেয় তা আনন্দ; কিন্তু ও বস্তু আমরা জানি নে বলে মানি নে। আমাদের শিক্ষার ভিতর আনন্দ নেই বলে আনন্দের ভিতর যে শিক্ষা থাকতে পারে তা আমাদের বুদ্ধির অগম্য। আমাদের আকাঙক্ষাকে শিশুকাল থেকেই কোমর বেঁধে আমরা খর্ব করি। অর্থাৎ সেটাকে কাজে খাটাবার আগেই তাকে খাটো করে দিই। অনেক সময়ে বড়ো বয়সে সংসারের ঝড়-ঝাপটার মধ্যে পড়ে আমাদের আকাঙক্ষার পাখা জীর্ণ হয়ে যায়, তখন আমাদের বিষয় বুদ্ধি অর্থাৎ ছোট বুদ্ধিটাই বড় হয়ে ওঠে; কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য যে, শিশুকাল থেকেই আমরা বড়।


সারাংশ: আমাদের শিক্ষার সম্পর্ক প্রয়োজনের কারণেই আনন্দের সাথে নয়। আর এ কারণেই সাহিত্য পাঠ করে সবাই শিক্ষাকে খোঁজে আনন্দকে নয়। শিক্ষার সাথে আনন্দের যোগের অভাবে তাই জীবনটাও নিরানন্দময় হয়ে পড়েছে। আমাদের শিক্ষা প্রয়োজনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে বলে এর মূল তাৎপর্যকে আমরা কখনোই উপলব্ধি করতে পারি না।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Be alert before spamming comments.

নবীনতর পূর্বতন

Sponsored

Responsive Ad