সুকঠিন গার্হস্থ্য ব্যাপার কে পারে চালাতে ভাবসম্প্রসারণ

সুকঠিন গার্হস্থ্য ব্যাপার কে পারে চালাতে Sukaṭhina gār'hasthya byāpāra kē pārē cālātē


সুকঠিন গার্হস্থ্য ব্যাপার কে পারে চালাতে 
রাজ্য শাসনের রীতিনীতি সূক্ষ্মভাবে রয়েছে ইহাতে


পরিবার হলো সামাজিক কাঠামোর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিষ্ঠান। শৈশবকাল থেকে পরিবার শিশুকে সামাজিকভাবে চলার জন্য উপযোগী করে গড়ে তোলে। কার সঙ্গে কী ধরণের আচার-ব্যবহার করতে হবে, অবস্থান ভেদে তার দায়িত্ব ও কর্তব্য কী হবে এসব পরিবারই আমাদেরকে শিখিয়েছে। পরিবার হলো একটি বিশাল ব্যবস্থাপনা ক্ষেত্র। এই ব্যবস্থাপনার কেন্দ্রবিন্দু মূলত মা-ই হয়ে থাকেন। তিনি অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে পরিবারের সকল কাজ সম্পাদন করেন।

পরিবারের সদস্যদের নৈতিক শিক্ষা এবং প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার ভিত্তি তার হাতেই রচিত। অসুস্থ সদস্যকে সেবাদান করে সুস্থ করে তোলার জন্য তিনিই অনান্য ভূমিকা পালন করেন। বাবা আর্থিক যোগান দিলেও পরিবারের বাজেট প্রণয়ন ও ব্যয় নির্বাহ তিনিই করে থাকেন। তবে বর্তমানে মায়েরা আর্থিকভাবেও পরিবারে বিশাল অবদান রেখে চলেছেন। সর্বোপরি একজন সুগৃহিনী মা অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে পরিবার পরিচালনা করে থাকেন। এই পরিবার পরিচালনার বিষয়টি অনেকাংশেই রাষ্ট্র পরিচালনার মতো।

নাগরিকদের সুযোগ সুবিধা দেয়ার জন্য রাষ্ট্র যেমন বিবিধ কার্য সম্পাদন করেন তেমনি পরিবার পরিচালনার জন্য একজন গৃহিনীও বিভিন্ন ধরণের কাজ করে থাকেন। বলতে গেলে রাষ্ট্রেরই ছোট একটি অবয়ব হলো পরিবার। রাষ্ট্র পরিচালনার সঙ্গে পরিবার পরিচালনার অনেক মিল রয়েছে। রাষ্ট্র শাসন করার যে রীতিনীতিগুলো রয়েছে তা অনেকাংশেই পরিবার পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

শিক্ষা: সুন্দরভাবে রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য যা যা প্রয়োজন পরিবার পরিচালনার জন্যও তা প্রয়োজন। আমাদেরকে সুন্দরভাবে পরিবার পরিচালনা শিখতে হবে যাতে দেশের প্রয়োজনে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব আসলে তা সুন্দরভাবে সম্পন্ন করা যায়।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Be alert before spamming comments.

নবীনতর পূর্বতন

Sponsored

Responsive Ad