প্রকৃত বীর একবারই মরে, কিন্তু কাপুরুষেরা মরে বারবার ভাবসম্প্রসারণ

প্রকৃত বীর একবারই মরে, কিন্তু কাপুরুষেরা মরে বারবার ভাবসম্প্রসারণ


প্রকৃত বীর একবারই মরে, কিন্তু কাপুরুষেরা মরে বারবার

এই পৃথিবীটা বিশাল এক কর্মক্ষেত্র বলে এখানে রয়েছে অনেক কর্তব্য। জীবনে চলার পথে অনেক বাধা বিপত্তির সম্মুখীন হতে হয়। এসব বাধা বিপত্তিকে ভয় পেলে চলবে না। জীবনে প্রকৃতভাবে বেঁচে থাকতে হলে সংগ্রাম করেই বাচঁতে হবে। একজন প্রকৃত বীর কখনো বিপদ দেখে ভয় পায় না। তারা বিপদকে তুচ্ছ করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যায়।

দেশের যেকোনো প্রয়োজনে তারা জীবন বাজি রেখে ঝাপিয়ে পড়ে। মৃত্যুকে তারা তুচ্ছ জ্ঞান করে যুদ্ধে, সংগ্রামে, জাতীয় উন্নয়নে জীবন উৎর্সগ করে। পরাজয় মেনে নিতে তারা কখনও রাজী নয়, তা মেনে নেয়া প্রকৃত বীরের র্ধমও নয়। মৃত্যুর মধ্য দিয়ে তাদের জীবনকে দেশের ইতিহাসে সার্থক করে তোলে। কেননা তারা জানে, শৃগালের ন্যায় হাজার বছর বেঁচে থাকার চেয়ে সিংহের ন্যায় একদিন বেঁচে থাকাটাই শ্রেয়। অপরপক্ষে যারা কাপুরুষ তারা নিজের জীবনের বিপদ-আপদ এমনকি দেশের প্রয়োজনের সময়ও কখনো কাজে আসে না।

তারা দেশের দুর্যোগময় অবস্থার সময় ঘরের কোণে চুপ করে বসে থাকে। বিপদের আভাস পেলেই ভয়ে একেবারে ভেঙ্গে পড়ে। তারা মনে করে বিপদের সময় সামনে এগিয়ে গেলেই মৃত্যু নিশ্চিত। তাই তারা সামনে এগোতে চরমভাবে ভয় পায়। জীবনে চলার পথে সামান্য বাধাটুকুও অতিক্রম করতে চায় না। এ ধরণের মানুষ জাতির কাছে কলঙ্ক। নিজ দেশে বাস করেও যারা দেশের প্রয়োজনের সময় কোনো ভূমিকা রাখতে পারে না, তাই তারা বেঁচে থেকেও মৃত। কিন্তু যারা দেশের প্রকৃত বীর সন্তান তারা দেশের যেকোনো প্রয়োজনে সর্বদা প্রস্তুত থাকে।

‘হয় করব, না হয় মরব’- এই মূলমন্ত্রে উজ্জীবিত হয়। মৃতুকে তারা হাসি মুখে বরণ করে নিয়ে জাতির কাছে অমর হয়ে থাকে যুগ যুগ ধরে। মৃত্যু তাদের একবারই আসে, আর ভীতু কাপুরুষের জীবনে মৃত্যু এসে হানা দেয় বার বার।

শিক্ষা: বৈচিত্র্যময় জীবনে কর্তব্য পালন করতে গিয়ে যারা মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে তারাই প্রকৃত বীরের মর্যাদা লাভ করে। আর কাপুরুষেরা মৃত্যুকে ভয় পেয়ে পিছিয়ে যায়। তাই মৃত্যুকে ভয় না পেয়ে, কর্তব্য পালন করাই প্রত্যেক মানুষের ধর্ম হওয়া উচিত।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Be alert before spamming comments.

নবীনতর পূর্বতন

Sponsored

Responsive Ad