যে আদিম মনুষ্য হিংস্র পশুর ন্যায় ক্ষুধার জ্বালায় সারাংশ


যে আদিম মনুষ্য হিংস্র পশুর ন্যায় ক্ষুধার জ্বালায়

যে আদিম মনুষ্য হিংস্র পশুর ন্যায় ক্ষুধার জ্বালায়


যে আদিম মনুষ্য হিংস্র পশুর ন্যায় ক্ষুধার জ্বালায় মহারণ্যে বিচরণ করিয়া মৃগ বধপূর্বক মধ্যাহ্নে বৃক্ষমূলে কাঁচা মাংস চিবাইয়া খাইত, সেই মনুষ্যই যেদিন অপরাহ্নের অস্তাচলগামী মৃদু মধুর বর্ণচ্ছাটায় বিমুগ্ধ হইয়া কি জানি কি ভাবিয়া, একটি পবনান্দোলিত বিলম্বিত লতা হইতে সবুজ জ্যোতিপুষ্প ছিঁড়িয়া মাথার চুলে গুঁজিল, সেই দিনই তাহার বিশাল ইতিহাসের সূত্রপাত হইল। সেইদিন জানা গেল যে, মহারণ্যবাসী সিংহ, ব্যাঘ্র চিরকাল মহারণ্যেই বাস করিবে; কিন্তু তাহাদের আদিম সহচর মনুষ্য মহারণ্য বিনষ্ট করিয়া মহাসম্পদের সৃষ্টি করিবে। সেদিন জানা গেল যে সিংহ ব্যাঘ্রের কেবল পৃথিবী আছে, কিন্তু মনুষ্যের পৃথিবী ও স্বর্গ দুই-ই আছে। সেই হইতে মানুষের অনন্ত শিক্ষার, আনন্ত উন্নতির সূত্রপাত হইল।


সারাংশ: মানুষ প্রাণী হলেও অন্য প্রাণী থেকে সে পৃথক। মানুষের মধ্যে আছে সৌন্দর্যবোধ। এই সৌন্দর্যবোধ যেদিন মানুষের মধ্যে জাগ্রত হয়েছে সেদিন থেকে অন্য প্রাণীর সাথে তার পার্থক্য রচিত হয়েছে। মানুষের শিক্ষা এবং উন্নতির মূলসূত্রও এই সৌন্দর্যবোধ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Be alert before spamming comments.

নবীনতর পূর্বতন

Sponsored

Responsive Ad