যে দোয়া পড়লে উপার্জন বৃদ্ধি হয়, বালা-মুসিবত ও রোগব্যাধি দূর হয়

প্রশ্ন: কোন দোয়া পড়লে আয় উপার্জন বৃদ্ধি হয় এবং বিভিন্ন ধরনের বালা-মুসিবত ও রোগব্যাধি দূর হয়ে যায়। সে সম্পর্কে জানালে ধন্য হবো .

যে দোয়া পড়লে উপার্জন বৃদ্ধি হয়, বালা-মুসিবত ও রোগব্যাধি দূর হয়


উত্তর: যে ব্যক্তি তার রিযিক তথা উপার্জন বৃদ্ধি করতে ইচ্ছা করবে বা চাইবে সে যেন বেশি বেশি খালিস অন্তরে ইস্তিগফার ও তাওবা করে এবং আল্লাহর উপর অগাধ ভরসা রাখবে। তাছাড়া কতিপয় আমলের মাধ্যমে রিযিক বৃদ্ধি পায়। যেমন-যে কোন কাজের শুরুতে বিসমিল্লাহ্ বলা ও সকাল বেলা কাজ শুরু করলে আয়-রোযগার, উপার্জন বৃদ্ধি করে দেন আল্লাহ্ তা‘আলা। 

তদুপরি ইয়া রাজ্জাকু, ইয়া রাজ্জাকু, বেশী বেশী পড়বে এবং ‘সূরা ওয়াকেয়া’ নিয়মিত মাগরিবের নামাযের পর আন্তরিকতার সাথে পড়লে রিজিক বৃদ্ধি পায়, অভাব-অনটন, দূর হয়ে যায়। আর বিপদ-আপদ, বালা-মুসিবত, রোগ ব্যাধি, মানুষের যে কোন সময় হতে পারে। কখন কার বিপদ, রোগব্যাধি হয়ে যায় তা নিশ্চিত বলা যায় না। 

বালা-মুসিবত আল্লাহর পক্ষ হতে আসে আবার তিনি তা দূর করে দেন। বিপদ আপদের সময় প্রিয়নবী ভেঙ্গে পড়তেন না বরং দোয়া পাঠ করার মাধ্যমে আল্লাহর দরবারে আশ্রয় চাইতেন এবং প্রার্থনা করতেন। যেমন কঠিন, বিপদ-আপদে তিনি নি¤েœাক্ত দোয়া পাঠ করতেন-

اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُ بِكَ مِنْ جَهْدِ الْبَلاَءِ وَدرَكِ الشَّقَاءِ وَسُوْءِ الْقَضَاءِ وَشَمَاتَةِ الْاَعْدَاءِ

উচ্চারণ- আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযূ বিকা মিন জাহদিল বালা ওয়া দরকিশ শাকা ওয়া সূয়িল কাজ্বা ওয়া শামাতাতিল আ’দা। [সহিব বোখারী, দাওয়াত অধ্যায়, ২৬তম পারা] অনেক সময় এ দোয়াটি পড়তেন-

يَا حَىُّ يَا قَيُّوْمُ بِرَحْمَتِكَ اَسْتَغِيْثُ

উচ্চারণ: ইয়া হাইয়্যু, ইয়া কায়য়ূমু বি রাহমাতিকা আসতাগিসু।

দোয়ায়ে ইউনুস তথা যে দোয়া পাঠ করে হযরত ইউনুস আলাইহিস্ সালাম মাছের পেট থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন সেটাও পাঠ করতে পারেন-

لَا اِلٰهَ اِلاَّ اَنْتَ سُبْحَانَكَ اِنِّىْ كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِيْنَ

উচ্চারণ: লা ইলাহা ইল্লা আনতা সোবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ্ জোয়ালেমীন।

এছাড়াও কোনো মুসলমান বিপদে পড়লে-

اِنَّا لِلّٰهِ وَاِنَّا اِلَيْهِ رَاجِعُوْنَ

উচ্চারণ: ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলায়হি রাজেউন।

আল্লাহ্ তা‘আলা বালা-মুসিবত ও পেরেশানী ইত্যাদি দূর করে দেন এবং বিপদ-আপদ হতে উদ্ধার করেন। বিপদ-আপদে বান্দাকে পরীক্ষা করা হয়। সুতরাং বিপদ-আপদ বালা-মুসিবতের সময় অস্থির ও অধৈর্য্য না হয়ে ধৈর্যধারণ করবে এবং আল্লাহর দরবারে ইখলাস ও আন্তরিকতার সাথে দোয়া-মুনাজাত করবে। তাওফিক ও সামর্থ থাকলে আল্লাহর রাস্তায় গরীব-মিসকিন ও অসহায় ও এতিমদের প্রতি যথাসাধ্য সাদকা করবে। সাদকা ও দান-দক্ষিণার মাধ্যমে বালা-মুসিবত দূরীভূত হয় যা নবীজীর নূরানী হাদীস দ্বারা প্রমাণিত।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Be alert before spamming comments.

নবীনতর পূর্বতন

Sponsored

Responsive Ad